গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালীগঞ্জে রেক্সি বাবু রোজারিও (৪৩) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুম করে প্রতিবেশী মৃত লিও রোজারিওর ছেলে লিংকন জন রোজারিও। পরে বিভিন্ন সময় বাবুর বাবার মোবাইলে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে লিংকন। টাকা না দেওয়ায় বাবুকে হত্যা করে সে। গুমের ৩ মাস ১৭ দিন পর পরিত্যক্ত ডোবা থেকে ওই যুবকের বস্তাবন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দড়িপাড়া এলাকায় নিহতের বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে লাশটি পায় জেলা গোয়েন্দাসহ (ডিবি) কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত লিংকনকে (৩৮) গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিস সুপার মো. আবুল কালাম আযাদ।
নিহতের পারিবারিক ও তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই দুপুরে বাবুর মোবাইলে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় লিংকন। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। একইদিন রাতে কালীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাবুর বাবা মুকুল রোজারিও। এরপর এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যায় লিংকন। ১৭ জুলাই অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন মুকুল।
এ ঘটনায় লিংকনকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথমে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকা থেকে নিখোঁজ বাবুর মোবাইল ব্যবহারকারী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। যদিও ওই ব্যক্তি জানান, মোবাইল ফোনটি তিনি অপরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছেন। এরপর ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে লিংকন জানায়, ঝগড়া হলে তার (লিংকন) স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বাবু। তাই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। মুক্তিপণের অর্থ না পেয়ে শাকিল নামে ভিন্ন পরিচয়ে নড়াইলে একটি মাছের ঘেরে কাজ নিয়ে বসবাস শুরু করে সে।